আবার ডাইনোসারদের সঙ্গে

রুপালি পর্দায় আবার ডাইনোসারদের ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়েছে। জুরাসিক ওয়ার্ল্ড থিম পার্ক ঘিরে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। ইসলা নাবলার দ্বীপে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড থিম পার্কটি তিন বছর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে বেশ কিছু ডাইনোসার রয়ে গিয়েছিল। থিম পার্কের কেয়ার টেকার ওয়েন গ্রাডি এবং ক্লেয়ার ডিয়ারিং নাবালা দ্বীপের আগ্নেয়গিরির আসন্ন অগ্ন্যুত্পাতের পূর্বাভাস জানতেই ছুটে আসেন সেই ডাইনোসারদের রক্ষার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু জুরাসিক ওয়ার্ল্ড থিম পার্ককে ঘিরে ততদিনে শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। হঠাত্ করেই সেখানে আবির্ভাব ঘটে অতিকায় দানবাকৃতির অনেকগুলো নতুন ডাইনোসারের। তাদের আগমনে থিম পার্কের বিদ্যমান ডাইনোসাররা হুমকির মধ্যে পড়ে। দানবাকৃতির ডাইনোসারদের ধ্বংসলীলা শুরু হলে গোটা পৃথিবীর অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়ে। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড :ফলেন কিংডম’ ছবিটির গল্পে ডাইনোসার ভুবনের ভয়াবহ গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এই সময়ে বক্স অফিসে তোলপাড় সৃষ্টিকারী হলিউডি ছবিটিতে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড থিমপার্কের অপারেশন্স ম্যানেজার ক্লেয়ার ডিয়ারিং চরিত্রে রূপদান করেছেন আমেরিকান অভিনেত্রী ব্রাইস ডালাস হোয়ার্ড। ক্লেয়ার এখন পৃথিবীতে বিপন্ন ডাইনোসারদের অধিকার সংরক্ষণের লড়াইয়ে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। ইসলা নাবলার দ্বীপে হঠাত্ আবির্ভূত বিশেষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি অতিকায় ডাইনোসারদের কবল থেকে থিমপার্কের সাধারণ ডাইনোসারদের সুরক্ষার লড়াইয়ে নামা ক্লেয়ার ডিয়ারিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৩৭ বছর বয়সী ব্রাইস ডালাস হোয়ার্ড। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক, মডেল ও লেখক। তার বাবা বিখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক রন হোয়ার্ড। ব্রডওয়েতে অভিনয় শুরুর আগে ব্রাইস নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির টিসুক স্কুুল অব দ্য আর্টসে পড়াশোনা করতেন, কিন উ গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট না করেই ব্রডুয়েতে বিভিন্ন নাটকের অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন এভাবেই, হলিউডের অনেক রথী-মহারথীর চোখে পড়ে গিয়েছিলেন। বিখ্যাত পরিচালক এম নাইট স্যামালানের চোখে পড়ে যাওয়ার পর ব্রাইসের কপাল খুলে গিয়েছিল। তিনি এই অভিনেত্রীকে তার সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দ্য ভিলেজ’-এ অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর স্যামালানের ‘ফ্যান্টাসি থ্রিলার’ ‘লেডি ইন দ্য ওয়াটার’-এ তাকে দেখা গেছে। ব্রায়াস ডালাস হোয়ার্ড ক্রমেই নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে এগিয়ে নিতে থাকেন। ‘অ্যাজ ইউ লাইক ইট’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছিলেন। তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘অর্বিডস’ পরিচালনা করেছেন। এ ছবির চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন।

‘স্পাইডার ম্যান থ্রি’ ছবিতে অভিনয় করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন ২০০৭ সালে। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য হলিউডি সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘টার্মিনেটর সালভেশন’, ‘দ্য টোয়ালাইট সাগা : ইক্লিপস’, ‘হিয়ার আফতার’, ‘দ্য হেলপ’, ‘ফিফটি বাই ফিফটি’, ‘দ্য টোয়ালাইট সাগা :ব্রেকিং ডন পার্ট টু’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’, ‘পেটিস ড্রাগন’, ‘গোল্ড’ প্রভৃতি। তিনি বলেন, ‘আমি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমার খুব বেশি সময় লাগে না যে কোনো চরিত্রের মধ্যে মিশে যেতে।’